WASHINGTON BANGLA

বৈধ পথে দেশে অর্থ না পাঠিয়ে হুন্ডিতে পাঠাতে প্রবাসে বিএনপি-জামায়াতের প্রচারণা!

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের চিরবিরোধী গোষ্ঠী- বিএনপি এবং জামায়াত-শিবির। এই দুই রাজনৈতিক সহচর-সংগঠন সবসময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশে এবং দেশের বাহিরে বসে সংগঠনের সদস্য ও সমর্থকরা প্রতিনিয়ত দেশবিরোধী অপপ্রচার, মিথ্যাচার এবং গুজবে লিপ্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের এই অপপ্রচার, মিথ্যাচারগুলো সাধারণ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিএনপি ও জামায়াতের হাজার হাজার পেজ এবং গ্রুপ রয়েছে। সেখান থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরণের গুজব ও মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে তারা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় এই দেশবিরোধী গোষ্ঠী তাদের প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে অনেক ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্টের বিষয়ে মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে হত্যায় প্ররোচিত করেছিল। শাপলা চত্বরের ঘটনার সময়ও গুজব এবং অপপ্রচার চালিয়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে ইন্ধন যুগিয়েছিল।

দেইল্যা রাজাকারের যুদ্ধাপরাধের মামলায় রায় ঘোষণার পর চট্টগ্রামে তারা মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্তেজিত করে তোলে। কখনও দেইল্যা রাজাকারকে চাঁদে দেখা যাচ্ছে, আবার কখনও শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে, কখনও এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ আলেম-ওলামাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এ ধরনের বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাণ্ডব চালাতে উস্কানি দেয়। এতে সাধারণ মানুষ উত্তেজিত ও অতি উৎসাহী হয়ে নাশকতায় যোগ দেয়। রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর জামায়াত-শিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীকেও গ্রেপ্তারের গুজব সৃষ্টি করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। করোনার প্রকোপ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই সঙ্কট তৈরি হয়। আর এই সঙ্কটকে এখন কাজে লাগিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি এবং জামায়াত-শিবির। বর্তমান সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান আশার আলো রেমিট্যান্স। আর সেই রেমিট্যান্স যেন বাংলাদেশে না আসে, এজন্য দেশবিরোধী চক্র সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত, বাহরাইন, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের মধ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

কারণ, এই দেশগুলোতে বিএনপি এবং জামায়াত পরিচালিত বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠান রয়েছেন। ফলে সেখানে বসবাসরত প্রবাসীরা যেন বাংলাদেশে টাকা না পাঠায়, সেজন্য তারা বিভিন্নভাবে প্ররোচনা দিচ্ছে। তারা প্রবাসীদের বলছে, তারা দেশে যে টাকা পাঠায় সেটি তাদের পরিবার-পরিজন ঠিকমত পায় না এবং পাবে না। কারণ সরকারের হাতে এখন ডলার নেই, ডলার পাঠালে সরকার সেটা আত্মসাৎ করে নিবে। এসব উদ্ভট প্রচারে কিছু অশিক্ষিত প্রবাসী বিভ্রান্ত হয়। এই অপপ্রচার এবং গুজবের প্রভাব পড়ে রেমিট্যান্সে। করোনা সঙ্কটের সময়ও যে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিলো গত কয়েক মাসে দেখা যায় যে তা কমে গেছে।

মূলতঃ এই দেশবিরোধী চক্র যা করছে, তা হলো- প্রবাসীদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করে বিভিন্ন দেশে সংগঠনের গোপন তহবিলে, বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ কিংবা বিদেশি ব্যাংকে গচ্ছিত রাখছে। অন্যদিকে সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রা (টাকা) বিকাশ, নগদ বা অন্য কোনো লেনদেনের মাধ্যমে দেশবিরোধীদের হুন্ডি এজেন্টরা বাংলাদেশেরই অপর কোনো অঞ্চল থেকে সেই প্রবাসীর পরিবারকে পাঠাচ্ছে। ফলে প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থের পুরোটাই কালো টাকা হয়ে যাচ্ছে। আর সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে ডলার রিজার্ভ করা থেকে। মূলতঃ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতেই এসব ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.