ওয়াশিংটন ডিসি: কিডনী / লিভার ক্যানসার জনিত অসুস্থতায় গত ৯ অক্টোবর রোববার ভার্জিনিয়ার উডব্রীজস্থ সেনটারা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বৃহত্তর ওয়াশিংটন যুবলীগ সভাপতি দেওয়ান আরশাদ আলী বিজয়। ৮ অক্টোবর ভোরে দেওয়ান আলীর শাররীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিকটস্থ সেনটারা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে পরে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের ডাক্তারদের সকল প্রচেষ্টার পর অবশেষে ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭:০৪ মিনিটে মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
১০ অক্টোবর সোমবার বাদ জোহর ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনস্থ বায়তুল মোকারম মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য শাহানা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক বাহার খন্দকার সবুজ, জানাযায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শামীম চৌধুরী, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দীন আহমেদ, মেরিল্যান্ড স্টেট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সেলিম, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত প্রেস মিনিষ্টার সাজ্জাদ হোসাইন সবুজ, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাদেক এম খান, মাহমুদুন নবী বাকী, জি আই রাসেল, নুরুল আমীন নুরু, দেওয়ান আরশাদ আলী বিজয়ের বন্ধু বান্ধব স্বজন সহ বৃহত্তর ওয়াশিংটনের সর্বস্তরের জনগন অংশগ্রহন করেন।
নামাজের জানাযা শেষে মরহুমের মরহদেহ ভার্জিনিয়ার ফ্রেড্রিসবার্গের অল মুসলিম এসোসিয়েশন অব আমেরিকা (অ্যামা সিমেট্রী) দাফন করা হয়। এ সময় মরহুমের পরিবারের সদস্য বন্ধু বান্ধব স্বজন সহ হত্তর ওয়াশিংটনের সর্বস্তরের জনগন উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের নামাজে জানাযা ও দাফন সংক্রান্ত বিস্তারিত কাজে সহযোগিতা করেন মরহুমের বন্ধু সাঈদ জি আলী, জাহিদ হোসেন, মুনির হোসাইন, জামাল হোসেন, সেলিম আক্তার, মামুন খান, জি এই রাসেল, জনি, আবু সরকার, হাসনাত সানি, জীবক বড়ুয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে দেওয়ান আরশাদ আলী বিজয় স্বস্ত্রীক ভার্জিনিয়ায় বসবাস করে আসছিলেন। ধীরে ধীরে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে নানা কাজ করে পরে বৃহত্তর ওয়াশিংটন যুবলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দেওয়ান আরশাদ আলী বিজয়ের মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।