WASHINGTON BANGLA

পদ্মা সেতু : সহজ হচ্ছে যোগাযোগ, বাড়বে বাণিজ্য ও পর্যটন

ঢাকাঃ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে রাজধানী থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনার সাগরপাড় পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা বেষ্টিত দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আকারের এই ভূমির (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল) অপার সৌন্দর্য অবলোকন করতে প্রতি বছর ভীড় করবেন অজস্র পর্যটক। নতুন করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে পর্যটন শিল্পের কারণে।

বাংলাদেশে যে তিনটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ (বিশ্ব ঐতিহ্য) রয়েছে তার দুটিই দক্ষিণাঞ্চলে- ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবন। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় আরো অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোতে পর্যটকরা যেতে আগ্রহ দেখাবে এবং পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন পর্যটন স্পট তৈরি হবে। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত ওই অঞ্চলের মানুষেরা উপকৃত হবে।

দ্রুততম সময়ে যাওয়া যাবে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও সাগরকন্যা কুয়াকাটা। লঞ্চে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা পৌঁছাতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। তবে পদ্মা সেতু হয়ে গেলে অর্ধেক সময়েই পৌঁছানো যাবে।

এছাড়াও এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীদের উপার্জন বাড়বে, জীবন বদলে যাবে লাখ লাখ মানুষের। পদ্মা সেতুর কারণে ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সাথে যুক্ত হবে দেশের দক্ষিণাঞ্চল। এর ফলে ভারত, ভুটান ও নেপালের সাথে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হবে। এসব দেশে রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.